কুমিল্লায় জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নবম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে সাতজন মিলে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রেমিকের সাথে ওরশে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের খানকা শরীফের ভিতরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। শনিবার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত সাত যুবকের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অনন্তপুর দড়িকান্দি হা’জী মাজেদুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৫) গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে তার প্রেমিক জয়পুর গ্রামের পূর্বপাড়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে জুয়েল রানার (২২) সাথে গ্রামের একটি ওরশের মেলায় ঘুরতে যায়।
সেখান থেকে জুয়েল রানা ও একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে আল আমিন (১৯) তাকে গ্রামের দক্ষিণ পাশে জমির মাঝখানে নির্জন টিনের দোচালা সাপ্তাহিক খানকা শরীফের ঘরে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে জুয়েল রানা ও আল আমিন ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে।
এরপর একই গ্রামের বাবর আলীর ছেলে পারভেজ মিয়া (১৯), জহিরুল ইসলামের ছেলে জিয়া (১৭), শাহ আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (১৭), কবির মিয়ার ছেলে শাকিব (১৭) ও শাহিন মিয়ার ছেলে শাহ পরানকে (১৭) ডেকে নেয়। এবং মেয়েটিকে ধর্ষণের জন্য তাদের প্রত্যেকজনের কাছ থেকে দুইশ টাকা করে নেয়া হয়। ছাত্রীটিকে ধর্ষণের পরে গ্রামের একটি দিঘির পাড়ে ফেলে যায়।
পরদিন সকালে গ্রামের কৃষক দীঘির পাড় থেকে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ধর্ষকরা ওইদিন মেয়েটির পরিবারে ফোন দিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেয়। তাদের হুমকিতে ছাত্রীর পরিবারের লোকজন আ’ত্মগোপনে চলে যায়। পরে কাঠগড়ায় উত্তর ফেসবুকের একটি আইডি থেকে ধর্ষণকারীদের ফোনালাপসহ ছবি প্রকাশ করা হয়।
যেখানে ধর্ষণের কথা স্বীকার করা ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছে এমন একটি ভয়েস ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি হোমনা থানা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়।
Discussion about this post