চট্রগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ১৮ গণ্ডা জায়গায় ৯টি গম্বুজবিশিষ্ট এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেছে। পুরো মন্দিরের দৈর্ঘ্য ১শ ফুট, প্রস্থ ৫০ ফুট এবং উচ্চতা ৬৫ ফুট। রাজস্থানের মাকরানা মার্বেল দিয়ে নির্মিত হয়েছে পুরো মন্দির। দরজা-জানালার কাঠ সংগ্রহ করা হয়েছে আফ্রিকা ও মায়ানমার থেকে।
মন্দিরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শ্রীল জয়পতাকা স্বামী, ২০০৭ সালের ২৩ জানুয়ারি। তিনতলা বিশিষ্ট মন্দিরটির নকশা করেছেন ভারতীয় স্থাপত্যবিদ পুণ্ডরিক বিদ্যাদাস ব্রহ্মচারী।
আগামী ১৫ মার্চ মন্দিরটি উদ্বোধন ও বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির পরিচালনা পর্ষদ সদস্য রূপেশ্বর গৌরাঙ্গ দাস। তিনি বলেন, প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শ্রীকৃষ্ণ মন্দির।
২০১০ সাল থেকে শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। ভারতীয় ৩০ জন ও বাংলাদেশী অর্ধশত শ্রমিক মিলে ৯ বছর ধরে একটানা কাজ করে গড়ে তুলেছেন পুরো মন্দিরের কাঠামো। ২০১৩ সাল থেকে রাজস্থানের শ্রমিকরা মার্বেল পাথরে সনাতনী চিত্রকলা খোদাই করে তা প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করেন।
মন্দির পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানান, শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের নিচতলা ব্যবহৃত হবে অডিটোরিয়াম হিসেবে। এরপর ১ম তলায় নাটমন্দির, ২য় ও ৩য় তলায় বিগ্রহ মন্দির। বিগ্রহ কক্ষ লাগোয়া ভোগ ঘরটি (প্রসাদ রন্ধনশালা) থাকবে দর্শনার্থীদের দৃষ্টির বাইরে। ভোগ রান্না পরবর্তী দেব বিগ্রহের সামনে নিবেদন কার্যক্রম ধর্মীয় রীতি অনুসারে সম্পাদনের লক্ষ্যেই এই ভোগঘর সবার দৃষ্টির বাইরে রাখা হচ্ছে বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ। আর ছাদের একপাশে থাকছে পূজারীদের থাকার কক্ষ।
মন্দিরে আফ্রিকা থেকে আনা কাঠ দিয়ে নির্মিত বিগ্রহের আসন সাজছে রত্নালংকারে। মন্দির গর্ভে বিগ্রহের মুখোমুখি রত্ন সিংহাসনে স্থাপিত হচ্ছে ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ মূর্তি।
বিশ্বের ৩৬টি দেশের ১৩০ জনের কৃষ্ণভক্ত দল, ২০-২৫ জন সন্ন্যাসী-মহারাজ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ, কৃষ্ণভক্ত সেবকরা আসছেন মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।
Discussion about this post