তুরস্কের বাণিজ্যিক রাজধানী ইস্তানবুলে ১৩৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিক বলে জানা গেছে। তবে কোন দেশের কত জন তা প্রকাশ করা হয়নি।
তুর্কি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি নিরাপত্তা সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) ইস্তানবুলের ফাতিহ জেলায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা অভিবাসীদের আটক করতে সক্ষম হয়। অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পরিচালিত এক অভিযানে পরিচালনা করে পুলিশের হাতে আটক হয়। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আটককৃতদের প্রাদেশিক অভিবাসন দফতরে পাঠানো হয়।
তুরস্কের দিয়ে আটক ১৩৫ জন ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার জন্যই ইস্তানবুল অবস্থান নিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তুরস্কের ডেইলি সাবাহ পত্রিকার প্রতিবেদন বলা হয়, ২০১৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক চার লাখ ৫৪ হাজার ৬৬২ অবৈধ অভিবাসী বা অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটক করে তুরস্ক। এদের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে আটক করা হয় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময়।
এর আগের বছর ২০১৮ সালে দুই লাখ ৬৮ হাজার জনকে আটক করা হয়। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আটক হয় এক লাখ ৭৫ হাজার করে অবৈধ অভিবাসী। তার আগের বছর ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪৬ হাজার। এছাড়া মানবপাচারের দায়ে তুরস্কে গত পাঁচ বছরে প্রায় ২৮ হাজার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
অবৈধ পথে ইউেরাপ পাড়ি দিচ্ছেন বাংলাদেশ-পাকিস্তাসহ নানা দেশের মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের অভিবাসন বিভাগ ও আইন-শৃংখলা বাহিনী অবৈধ অভিবাসীদের অস্তিত্বের সন্ধান এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে নেমেছে। এমন একটি অভিযানে ধরা পড়ল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এই নাগরিকরা।
Discussion about this post