ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে নিজের ভোট দেন তিনি।
শনিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেন তিনি। সিইসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট ৮-৯ বছর আগের। ঘামে ভেজা থাকায় হয়তো মেলেনি, পরে এনআইডি দিয়ে ভোট দিয়েছি। অনেকেই এই সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে ভোট না দিয়ে কেউ যাবেন না। আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা আছে। বিকল্প ব্যবস্থায় ভোট দেয়া যাবে।’
সিইসি ভোট দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সিইসি স্যার প্রথমে ভোট দিতে গেলে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ভোট দিতে পারেননি। পরে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোট দেন।
ইভিএমে জালিয়াতি প্রসঙ্গে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘এত সহজ নাকি! এত সহজ! প্রশ্নই ওঠে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগে যখন ব্যালটে ভোট হতো, তখন ছিনতাই করে নিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। কিন্তু ওইরকম করা কি সম্ভব? ইভিএম এমন একটা জিনিস, যেখানে ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে হবে। এটা আমাদের অর্জন। আগে ভোটার যেত বা না যেত, ভোট হয়ে যেতে পারত। এখন আর সেই সুযোগ নেই।’
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
Discussion about this post