শেখ ফয়সাল সিদ্দিকী ববি: চট্টগ্রাম চান্দগাঁও আবাসিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডাচ বাংলা সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বিশিষ্ট দানবীর জনাব হাসান মাহমুদ চৌধুরী এক সংক্ষিপ্ত সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত আগমন উপলক্ষে “চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশন” ইউএইর শাখার উদ্যোগে ২৮জানুয়ারি মঙ্গলবার সারজাহ্ মাম রেস্টুরেন্ট মজলিস আল মদিনার হলরুমে এক বিশাল গনসংবর্ধনা অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশন ইউএইর আহবায়ক কাজী সৈয়দ তারেকের সভাপতিত্বে এবং নাসিম উদ্দিন আকাশ ও সৈয়দ মোহাম্মদ মঞ্জুর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চান্দগাঁও আবাসিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডাচ বাংলা সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বিশিষ্ট দানবীর জনাব হাসান মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্টানে হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত চট্টগ্রাম প্রবাসীদের সমন্বয়ে “চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” নামে একটি সংগঠন খুব শীঘ্রই আত্নপ্রকাশ ঘটবে।
এই সংগঠনের উদ্যোক্তা হাসান মাহমুদ চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত চট্টগ্রাম প্রবাসীদের সাহায্য সহযোগীতায় এগিয়ে আসায় সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। এই সংগঠনের সাফল্য অর্জনে আমিরাতে অবস্থানরত চট্টগ্রামবাসীদের এগিয়ে আসার আহব্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রবাসীদের কল্যাণে এই সংগঠনটি চালু করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে এই সংগঠনটির জন্য সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা হাসান মাহমুদ চৌধুরী দুই লাখ দেরহাম অনুদান ঘোষণা দিয়েছেন। হাসান মাহমুদ আরো বলেন, চট্টগ্রাম প্রবাসীদের দু:খ দুর্দশা জন্য চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে প্রবাসীদের দু:খ দুর্দশায় ব্যয় করবেন এবং প্রবাসীদের জন্য চট্টগ্রাম শহরে একটি কমিউনিটি সেন্টার সহ একটি স্থায়ী অফিসের ব্যয় ব্যবস্থা করবেন।
সারজাহ্ মাম রেস্টুরেন্ট হলরুমে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন কাজী সৈয়দ তারেক তিনি তার বক্তব্যে বলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় সাত লাখের মত প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে। তার মধ্যে চট্টগ্রামের লোক সংখ্যা প্রায় ৭০% এর উপরে বলা যায়। অত্যন্ত আনন্দের সহিত বলতে হয়, এই সুদুর প্রবাসে আমরা সকল ধরনের দেশীয় সংস্কৃতি উদযাপন করে থাকি। আমিরাতে প্রায় একশতেরও উপর বাংলাদেশী কমিউনিটি ও সংগঠন রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
যা আর কোন দেশের নেই বললেই চলে, আর দু:খের বিষয় হলেও একথা সত্য যে বেশিরভাগই সংগঠন কিছু আনন্দ ছাড়া ভালো কল্যাণমূলক দৃশ্য চোখে না পড়ার মতো। অথচ এই দেশে ইউএই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি রেজিস্ট্রেড বাংলাদেশ সমিতিও রয়েছে। আমি কারো দিকে ব্যর্থতার ইংগিত দিচ্ছি না। আমাদের সকলের ভাবা উচিত এতো সুযোগ থাকা সত্বেও কেন দেশ বা জাতীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নিরোসন করতে পারছি না আমরা। আমরা যারা এসব প্রোগ্রাম, উৎসব করি আমাদের সামনে প্রশ্নগুলো দৃশ্যমান থাকে। প্রবাসী কমিউনিটিগুলোর বিভিন্ন যোগসূত্রের সুবাদে আমার প্রবাস অভিজ্ঞতায় তাই বলছি। চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশন নতুন কোন নেতৃত্ব নয় প্রবীণ কমিউনিটি গুলোতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাই। চট্টগ্রামের মেয়র মহোদয়ের সাথে আলাপ করে চট্টগ্রামে আমাদের একটি স্হায়ী অফিসের প্রয়োজন রয়েছে, আজকের সম্মানিত অতিথিকে আমাদের সাথে একাত্মততা প্রকাশ করে মেয়র মহোদয়ের সাথে বসে আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। যেন প্রবাসীরা দেশে গিয়ে আমাদের কল্যাণ ফাউন্ডেশন হতে বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা নিতে পারে।
প্রবাসীরা হঠাৎ করে দেশে গিয়ে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারেনা, তাই অনেকগুলো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে জায়গা জমি নিয়ে। বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়, এরপর ভিসা সন্ক্রান্ত- দীর্ঘ ৭ বছরের ও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের নতুন ভিসা, ট্রান্সফার, সকল সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশীদের জন্য বন্ধ রয়েছে। এসব সমস্যা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কুটনীতিদের সাথে প্রবাসী তথাকথিত নেতা নেতৃবৃন্দদের সাথে মিলিয়ে ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী দের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, সরকারের একক কোন দায়িত্ব না, প্রবাসীদের সমস্যা গুলিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রবাসীদের দায়িত্ব অত্যান্ত জরুরি। অথচ আমরা তথাকথিত কমিউনিটি নেতারা জাঁকজমকপূর্ণ অনুস্টানে সফল হলেও, বাস্তব কৃতিত্বের ধারে কাছেও নেই।
নিজের প্রয়োজন ঠিকই লুফে নিচ্ছি। দেশ এবং জাতির অস্তিত্ব বিলীন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন দুবাই উত্তর আমিরাতের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ্ শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমাইল গণি চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মিসেস জিনাত কোহিনুর। আবুধাবি নাসের স্পোর্টসের সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম সিআইপি। আবুধাবি কার্গো ওনার্স এসোশিয়েশন সেক্রেটারি নুরুল আবছার। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম ডি বেলাল হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শবনম আকতার, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এম ডি বেলাল হোসেন। প্রমুখ।
Discussion about this post