ইতালিতে স্ত্রী প্র’তারণা করে স্বামীর ৩৫ লাখ টাকা আ’ত্মসাতের অ’ভিযোগ উঠেছে। স্বামী সন্তান ছেড়ে অন্যের ঘর করছেন এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির মানতোভা নামক স্থানে স্ত্রী লিজার এমন ঘটনায় দিশেহারা স্বামী রনি।
২০১১ সালে কুমিল্লার দুর্গাপুর উপজেলার সাহেবনগর ইউনিয়নের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রনির সাথে একই উপজেলার আবুল কালামের মেয়ে লিজার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
ইতালি প্রবাসী রনি উদ্দিন বিয়ের পর স্ত্রীকে রেখে ফের ইতালি আসেন। এরপর ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর স্ত্রী লিজাকে ইতালি নিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন পর তাদের দাম্পত্য জীবনে সোহান উদ্দিন নামে এক পুত্রসন্তান আসে। সন্তান জন্মের পর বছরখানেক তাদের সময় ভালোভাবেই চলছিল।
হঠাৎ শুরু হয় স্ত্রীর পরকীয়া। লিজা তার কর্মস্থলে দেওয়ান সোহাগ নামে এক সহকর্মীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এমন ঘটনায় রনি ও লিজার মধ্যে কলহ সৃষ্টি হতে থাকে। বিরোধের একপর্যায়ে লিজা তার একমাত্র শিশুসন্তান সোহানকে স্বামীর কাছে রেখে প্রেমিকের ইতালিস্থ বাসা থেকে চাকরি শুরু করেন। এরপরই তাদের মাঝে দূরত্ব বাড়তে থাকে। লিজার বিরুদ্ধে একাধিক পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে।
ইতোমধ্যে রনির বাবা মোসলেম উদ্দিন প্রবাসী পুত্রবধূর বিরুদ্ধে একাধিক পরকীয়া, ৩৫ লাখ টাকা আ’ত্মসাৎ, বিয়ে, ছয় বছরের শিশুকে হ’ত্যাচেষ্টাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর ১৫৬০।
এ ছাড়া স্ত্রী লিজা উদ্দিন (২৩), বাবা আবুল কালাম (৫০) এবং মা হোসনে আরা (৪৫) তাদের বি’রুদ্ধে থা’নায় অ’ভিযোগ দা’য়ের করেন। এ ব্যাপারে ইতালি প্রবাসী ভুক্তভোগী রনি উদ্দিন জানান, স্ত্রী লিজা তিন-চার ছেলের সাথে পরকীয়ায় আ’সক্ত হয়। সে আমার সাথে ইতালি গিয়ে অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা ও পরকীয়ায়সহ বিভিন্ন অ’পরাধে জ’ড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া আমাকে তালাক না দিয়ে পরপর দুটি বিয়ে করেছে।
তিনি জানান, জমি কেনার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে তার বাবা আবুল কালাম ও মা হোসনে আরার যোগসাজশে এসব কুকর্ম করেছে। গত ২০ ডিসেম্বর লিজা বাংলাদেশে এসে আরেক প্রেমিক ভারতীয় নাগরিক নুরুল আমিনকে বিয়ে করেছে।
রনির বাবা মোসলেম উদ্দিন জানান, লিজার পরকীয়া প্রেমিক দেওয়ান সোহাগ লিজাকে রেখে বাংলাদেশে এসে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে ইতালিতে নিয়ে যায়। পরে লিজাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে লিজা তার ছেলে রনির বিরুদ্ধে ইতালি আদালতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি শুরু করে।
তিনি জানান, ইতালি থাকা অবস্থায় বাবার এলাকায় সম্পত্তি কেনার কথা বলে লিজা ৩৫ লাখ টাকা আ’ত্মসাৎ করেছে। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে আমার ছেলে রনি উদ্দিনের কাছ থেকে লিজা উদ্দিন লাখ লাখ টাকা আ’ত্মসাৎ করে। লিজা ইতালি যাওয়ার পর বিভিন্ন প্রবাসী ছেলেদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে।
এ ছাড়া তৃতীয় বিয়ের পর ইতালি গিয়ে আমার ছেলে ও নাতিকে আরও ব্যা’পকভাবে হ’য়রানি করবে বলে হু’মকি দিয়ে আসছে। আমি প্রশাসনের কাছে সুবিচার দাবি করছি।
Discussion about this post