বছরের বহুল আলোচিত সফল নারী সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি নাজমুন নাহারের অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়। ১৬ কোটি মানুষের লাল সবুজের পতাকাকে বুকে ধারণ করে গত ১৯ বছর ধরে নাজমুন নাহারের বিশ্বব্যাপী ১৩৫ দেশ ভ্রমণের সফল অভিযাত্রাকে সম্মাননা দেন ‘উইমেন্স এম্পাওয়ার্মেন্ট অরগানাইজেশন।’
ডাব্লিউ ই ও অর্গানাইজেশন তাদের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘সফল নারী ক্যাটাগরিতে’ ২২ ডিসেম্বর বনানী ক্লাবে নাজমুন নাহারের হাতে ‘সফল নারী সম্মাননা’ তুলে দেন উইমেন্স এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নিলুফার আহমেদ করিম ও উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট নাজমা মাসুদ।
দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছেন নাজমুন নাহার। ২০১৯ এ উপাধি ও পুরস্কারের ঝুলিতে জমা হয়েছে নাজমুন নাহারের বিখ্যাত কিছু অর্জন। সম্প্রতি ২৭ অক্টোবর ২০১৯ যুক্তরাষ্ট্রে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পিচ টর্চ অ্যাওয়ার্ড ও ডটার অব দ্য আর্থ উপাধি।
জাম্বিয়া সরকারের গভর্নরের কাছ থেকে পেয়েছেন ফ্ল্যাগ গার্ল উপাধি। এছাড়া ২০১৯ পেয়েছেন অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা ও তারুণ্যের আইকন উপাধি, মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, গেম চেঞ্জার আওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর আওয়ার্ড, রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড।
বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে দেশ ভ্রমণের ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েছেন নাজমুন নাহার। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় গত ১৯ বছরে বাংলাদেশের পতাকা হাতে একা একা সড়কপথে তিনি ভ্রমণ করে ফেলেছেন পৃথিবীর ১৩৫টি দেশ। ২০২১ সালের মধ্যে ভ্রমণ করবেন পৃথিবীর প্রতিটি দেশ।
প্রথম বিশ্বভ্রমণ শুরু হয় ২০০০ সালে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল এডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে। ১০০ দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন ২০১৮ সালের ১ জুন পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের ব্রিজের ওপর। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ১৩৫ তম দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েন কোস্টারিকায়।
বিশ্বব্যাপী কঠিন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে কখনো সুউচ্চ পর্বত শৃঙ্গ, কখনো সমুদ্র, মরুভূমি, জঙ্গল, গ্রাম, শহর-নগর, আদিবাসী এলাকাতেও তিনি নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। বাংলাদেশের পতাকা হাতে তিনি বিশ্ব শান্তির এক অনন্য দূত হিসাবেও কাজ করে যাচ্ছেন সারা বিশ্বে! নাজমুন নাহার পৃথিবীর বিভিন্ন স্কুলে বাংলাদেশের পতাকা হাতে ‘এক পৃথিবী এক পরিবারের’ বিশ্ব শান্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
Discussion about this post