স্বর্ণ চোরাচালানের বড় একজন বাহক ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে দায়িত্বরত জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের জালে স্বর্ণের চালান নিয়ে ধরা পড়া এই বাহকের নাম মোহাম্মদ অহিদুল আলম।
দুবাই প্রবাসী অহিদুল আলমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় ।
দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন আটক অহিদুল আলম। সকাল পৌনে ৯টার দিকে দোতলার বোর্ডিং লাউঞ্জে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে তাকে চ্যালেঞ্জ করে এনএসআই সদস্যরা। পরে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় অহিদুলের দেহতল্লাশি করা হয়। এ সময় জ্যাকেটের ভেতর কৌশলে লুকিয়ে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
উদ্ধার ও জব্দ করা স্বর্ণের বারের মোট পরিমাণ দুই কেজি ৩৪০ গ্রাম এবং বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে শুল্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আইনি কার্যক্রম ও মামলার জন্য আটক যাত্রী ও স্বর্ণের বারগুলো শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করে এনএসআই।
এনএসআই কর্মকর্তারা জানান, দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশের ঔ ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। অহিদুল আলম চট্টগ্রামের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও স্বর্ণের বারগুলো পৌঁছে দিতে ওই বিমানে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। যাত্রা বিরতিতে বোর্ডিং লাউঞ্জে এসে সময় পার করার সময়ই সন্দেহজনক চলাফেরায় ধরা পড়েন।
এর আগেও একবার স্বর্ণের অবৈধ চালান নিয়ে দুবাইপ্রবাসী অহিদুল আলম বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় স্বীকার করেন। রতি তিন-চার মাস পর পর দেশে ফিরেন বলেও জানান তিনি। বিকেলে কাস্টমস আইনে মামলা করে পতেঙ্গা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে অহিদুলকে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ উৎপল বড়ুয়া আকাশযাত্রাকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আটক অহিদুল আলম স্বর্ণের অবৈধ চালানটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কাজেই ধারণা করা যায় এর পেছনে সংঘবদ্ধ দল কাজ করছে। এসব হোতাদের খোঁজে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। তাই রিমান্ডের জন্য আমরা আদালতে আবেদন করবো।”
Discussion about this post