পাবনায় মেয়ে হত্যার মামলা না নিয়ে উল্টো ডাকাতির মামলায় বাবাকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে। হত্যার বিচার ও ওসির অপসারণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে মেয়ে আশা খাতুনের মৃত্যুর বিচারের আশায় পাবনার ফরিদপুর থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন বাবু। কিন্তু, মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে ফাঁসানোর জন্য দেয়া হয়েছে ডাকাতি মামলা।
আশার পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আশা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। কিন্তু আশার তিন বছরের শিশু সন্তান আরিকা তার নানাবাড়ি গিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জানায়। সে জানায় তার মাকে তার বড়মা (চাচি) জাহানারা ও আঙ্গুরী পিটিয়ে ও গলাটিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছে। শেষে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো আশার বাবার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
পরে জামিনে বের হয়ে গত ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) আশার বাবা জাহিদুল ইসলাম বাবু পাবনার আমলি আদালতে ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারক মো. মুরাদ জাহান মামামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য ফরিদপুর থানায় পাঠালেও পুলিশ মামলাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। যাদের নির্যাতনে মেয়েকে হারাতে হয়েছে, তাদের বিচার চান আশার বাবা-মা। হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়া, আশার বাবাকে ডাকাতির মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ওসি আবুল কাশেমের অপসারণ দাবি করেছেন তারা।
আশার বাবা জাহিদুল ইসলাম বাবু জানান, আমার মেয়ে হত্যার পর থানায় মামলা নেয়নি। ডাকাতির মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটিয়েছে। কোর্টে মামলা করায় এখন নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। মামলা তুলে নিতেও ওসি চাপ দিচ্ছেন।
Discussion about this post