প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে নেয়ার কার্যক্রমে এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে দুবাই। আমিরাত সরকারের অনুমতি পাওয়ায় সরাসরি কার্যক্রম চালাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৫ নভেম্বর অনলাইনে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের ভোটার করে নেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
ইসি সূত্র জানিয়েছেন, আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে দুবাইতে কার্যক্রম শুরু হবে। এক্ষেত্রে মিড লেভেলের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টিম দুবাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেস্ক বসিয়ে কার্যক্রম চালাবেন। পাশাপাশি অনলাইনেও আবেদন নেয়া হবে। দুবাইয়ের পর সৌদি আরব, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরতরাও সুযোগটি পাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীরা আবেদন করার পর সেটা আমরা তার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাবো। সেখান থেকে তদন্ত প্রতিবেদন আসলে, যোগ্য ব্যক্তির দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেয়ার জন্য দূতাবাসে হেল্প ডেস্ক বসানো হবে। এরপর সেটা ইসি সার্ভারে নিয়ে স্মার্ট কার্ড ছাপিয়ে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমেই আবার বিতরণ করা হবে।
আবেদনে যা লাগবে : এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে প্রবাসসীদের ভোটার হওয়ার জন্য। এগুলো হলো- পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হয়নি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেড় কোটির মতো বাংলাদেশের নাগরিক বসবাস করছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। যার ভিত্তিতেই পরবর্তীতে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিত করণসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা। ইসির সার্ভারে বর্তমানে সাড়ে ১০ কোটি নাগরিকের তথ্য আছে।
ইত্তেফাক
Discussion about this post