দেশের প্রতি ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সৌদি আরবের উচ্চমূল্যের চাকুরী ছেড়ে দেশে ফিরে এসে খুন হলেন সৌদি প্রবাসী চিকিৎসক মো: শাহ আলম(৫৮)। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ঘাটগড় এলাকায় চিকিৎসক মো: শাহ আলমকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। তাঁর বাড়ী সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে বলে জানা যায়।ডাঃ শাহ আলম ছোট কুমিরার আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে কুমিরা ঘাট এলাকার বাইপাস সড়কের পাশে শাহ আলমের লাশ পড়ে থাকতে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা দুষ্কৃতিকারীরা তাঁকে খুন করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়েছে।
সুদীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ডাঃ শাহ আলম সৌদি আরবে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইতিমধ্যে দেশে এসে নিজ এলাকার মানুষের সেবায় বেবী কেয়ার ক্লিনিক স্থাপন করে স্থানীয় জনসাধারণের সেবা করে আসছিলেন। প্রতিদিন নিজ এলাকায় এসে রোগী দেখা, সহযোগীতা করা অতঃপর শহরে নিজ বাসায় ফেরা তাঁর দৈনন্দিন রুটিন ওয়ার্ক ছিল। এত ভালো একজন মানুষ, সুচিকিৎসককে এভাবে হত্যা করা কোনভাবেই মানতে পারছেন না এলাকার সাধারন মানুষ। এলাকাবাসী এটি হত্যাকাণ্ড কি না এবং যদি হত্যাকাণ্ড হয় দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নিহতের নিকটাত্মীয় বলেন, ডা. শাহ আলম অত্যন্ত ঠাণ্ডা ও শান্ত প্রকৃতির একজন মানুষ ছিলেন। তিনি সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মদিনার চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে কুমিরার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিশু সেবা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।
Discussion about this post