ছবিতে আমার পাশে যেই ছেলেটি দেখছেন! তার নাম আব্দুল্লাহ, ছেলেটি আমার কোন আত্মীয় নয়, তবে ছেলেটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে,তার সকল খরচ আমি বহন করছি। কুরবানির আগে কাছের লোকদের বলেছিলাম তার জন্য কিছু কুরবানির পশুর চামড়া ছদাকা করা টাকা দেয়ার জন্য। অপেক্ষায় ছিলাম।কিন্তু আফসোস ২০০০ টাকার চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬০ থেকে ৩০০ টাকায়। অনেকে বিক্রি না করে মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
আমি মনে করি এটি একটি ষড়যন্ত্র, যা গত একযুগ আগে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের ইসলাম পন্তি বা ইসলামিক দলগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তারই অংশ হিসেবে বর্তমান কাওমী মাদরাসাকেও অর্নৈতিক দূর্বল করতেই কি এবার কুরবানির পশুর চামড়ার দামের সাথে তামাশা করা হলো কি না খতিয়ে দেখে দরকার।
যেখানে চামড়ার তৈরী জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে,যেমন চামড়ার তৈরী ব্যাগ,মানিব্যাগ, জুতা সহ সকল জিনিসের দাম বাড়ছে সেখানে চামড়ার দাম কেন কমাবেন? কুরবানির চামড়ার টাকাটা ছিলো গরিবের হক্ক বা সদকার অর্থ যা দিয়ে লক্ষ লক্ষ গরিবের ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচের জোগান দিতো। এতিম ছেলে মেয়েরাতো কলেজ ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পায় না এরা মাদ্রাসাতেই পড়াশোনা করে। তাই এর প্রতিবাদ করার কেউ নেই এবং জবাবদিহি করারও দেশে কেউ আছে আমরা মনে করি না।
দুনিয়াতে বিচার হবেনা তবে আখিরাতে আল্লাহর আদালতে এই হাজারো এতিম মিসকিনেরাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে যাদের কারনে আজ কুরবানির পশুর চামড়ার দাম পাওয়া গেলো না। তাই আসুন আমরা যার যার তাওফিক অনুযায়ী এক দুইজন এতিমের লিখাপড়ার দায়িত্ব নেই।যা হবে দুনিয়া ও আখিরাতের পুঁজি।
ওহে মাবুদ, আপনি এতিম মিসকিনদের প্রতি রহম করেন।
লিখক
মোল্লা নাজিম উদ্দীন
খতিব মসজিদুল কো’বা
রেইস কোর্স কুমিল্লা
Discussion about this post