বোরকা ও হিজাব পড়ে স্কুলে ঢোকার কারণে শিক্ষক দ্বারা লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাজধানীর পীরেরবাগ আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে এমন ঘটেছে।
লাঞ্চিত ছাত্রীর নাম সানজিদা আক্তার হ্রিদি। হ্রিদি ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেন- সাদা হিজাব, নীল বোরকা ও সাদা জুতা পড়ে (ইউনিফর্ম রঙ অনুযায়ী) স্কুলে ঢোকার পর স্কুল এর একজন শিক্ষক তাকে বেত দিয়ে আঘাত করে এবং তাকে বিভিন্ন রকমের কথা বলে স্কুল থেকে বের করে দেয়। হিজাব বোরকা পরে নাকি স্কুল যাওয়া যাবেনা। তারপর সানজিদা আক্তার বাসায় এসে ঘটনাটি তাঁর মাকে জানায়। সানজিদার মা প্রধান শিক্ষক (রমেশ কান্তি ঘোষ) এর সাথে কথা বলতে স্কুলে যায়।
কেন তাঁর মেয়েকে বোরকা পড়ার কারণে বের করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রধান শিক্ষক (রমেশ কান্তি ঘোষ) কোন কথা ঠিক ভাবে না শুনে তার সাথে উগ্র মেজাজে কথা বলে এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, এমনকি তাকে বসতেও বলা হয়না। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সানজিদার মাকে উক্ত রুমে উপিস্থিত থাকা ম্যাডাম এর মাধ্যমে বের করে দেয়া হয়। এরপর হতাশ হয়ে সানজিদার মা বাইরে অনেক্ষন অপেক্ষা করে আবারও কথা বলার উদ্দেশ্যে কিন্তু অনেক সময় পার হওয়ার পরও প্রধান শিক্ষক (রমেশ কান্তি ঘোষ) এর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়না।
সানজিদর ভাই রাকিবুল হাসান ভার্সিটি পড়ুয়া মায়ের কাছে উক্ত কথা শুনতে পায়। পরে রকিব তার মা ও বোনসহ প্রধান শিক্ষক এর রুমে যায় কথা বলতে, অনেকক্ষন দারিয়ে থাকার পর ভেতরে ঢুকলে তখন প্রধান শিক্ষক বলে কি ব্যাপার আপনারা আবার আসছেন কেন? এবং খারাপ ব্যাবহার করে কথা বলে তাঁদের সাথে। তখন সেখানে আরো শিক্ষক এবং স্কুলের অফিস কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বার বার কথা বলার চেস্টা করলে, আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বলে হিজাব ও বোরকা পরে স্কুলে আসা যাবেনা তার কাছে কারন জানতে চাওয়ায় এবং তার এই খারাপ ব্যবহারগুলো মোবাইল এ ধারন করার কারনে সে তা দেখে ফেলায় এক পর্যায় সে রাকিবের মোবাইল ফোনটি নেয়ার জন্যে স্কুল এর কর্মচারী (নাসিরকে) বলে এবং সানজিদার মা বাঁধা দেয়ায় (জামান) উক্ত স্কুলের কর্মচারী সানজিদার মা এর দিকে রেগে এগিয়ে আসে এবং তার গায়ে হাত তুলতে চায়।
এ সময় সেখানে থাকা কিছু শিক্ষক তাঁকে কোন রকম ধরে রাখে। রাকিবের হাতে থাকা মোবাইল এ ধারন করা ভিডিওটি ডিলিট করার জন্যে এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক (রমেশ কান্তি ঘোষ) তার রুম এর দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় এবং দরজা বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে সে এবং তার স্কুলের কর্মচারী দুজন মিলে রাকিবের উপর হামলা করে এবং তার হাতে থাকা কলম ঢুকিয়ে দিয়ে রক্তাত্ত করে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে তাই সম্পূর্ন ভিডিও করা সম্ভব হয়না। রাকিবের চিল্লানো শব্দ শুনতে পেয়ে এলাকার কিছু লোক জরো হয়। কোন রকমে আহত অবস্থায় সানজিদাসহ মা ও ভাই সেখান থেকে বের হয়ে আসে।
সেখানে উপস্থিত থাকা কিছু মানুষ এবং নাম না জানা সেই প্রতিষ্ঠান এর তৃতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা বলে এর আগেও নাকি এধরনের ঘটনা এখানে ঘটে এবং মামলাও নাকি হয়েছিলো। একজন শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক যদি অভিভাবকদের সাথেই এমন ব্যাবহার করে তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কেমন আচরন করতে পারে এবং তাদেরকে কি শেখাবে তাঁরা। প্রতিবেদন সংগ্রহ কালে রাকিবের কাছে জানতে চাইলে রাকিব বলে, আমি এই দেশের একজন নাগরিক, একজন ছাত্র, একজন মিডিয়া কর্মী এবং একজন ভাই হিসেবে আমি শ্রদ্ধেও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এবং দেশবাসীর কাছে এর সঠিক বিচারের আশা করছি।
Discussion about this post