ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি মাদ্রাসায় গরুর গোশত থাকার সন্দেহে পাথর নিক্ষেপ ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে উগ্রপন্থিরা। ভাঙচুরের পর মাদ্রাসাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। মঙ্গলবার ফতেপুর জেলায় এমন ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, সোমবার ওই মাদ্রাসার পেছনের একটি জায়গায় গবাদি পশুর দেহাবশেষ পাওয়া যায়। এতে কিছু মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কিন্তু মঙ্গলবার ফের একই জায়গায় গবাদিপশুর দেহাবশেষ পাওয়ায় উগ্রপন্থিরা মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে সরিয়ে দেয়।ওই ঘটনার পরে এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার রমেশ বলেন, সকালে বেহতা গ্রামে গরুর গোশত উদ্ধার হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে কিছু অরাজকতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে পাথর নিক্ষেপসহ আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের তথ্য নেই।
তবে ওই ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিসেবা দফতরের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী রেডিও তেহরানকে বলেন, ওই ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়, গণতন্ত্র বিরোধী ও ভারতবিরোধী। এসব তারা (হিন্দুত্ববাদীরা) করবে। কিন্তু এসব করেও তারা টিকতে পারছে না। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জয় আছে। এটা অধর্মের কাজ। ধর্মনিরপেক্ষতার কাজ নয়। এসব কাজকর্ম করে তারা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে চাচ্ছে। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দাঙ্গা বাধাতে চাচ্ছে।
Discussion about this post