ওমানে সড়ক দূর্ঘটনায় আমিন উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ওমানের বারকা-সোহার- দুবাই রোডে এ ঘটনা ঘটে। সড়ক পার হতে গিয়ে কোন এক গাড়ি চাপায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পরে পুলিশ এসে লাশ মর্গে নিয়ে যায়।নিহতের বাড়ি চট্রগ্রাম জেলার ফড়িকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে।
নিহত আমিনের ভিসা না থাকায় লাশ দেশে পাঠাতে কিছুটা জটিল হতে পারে। তার প্রতিবেশি স্বজনরা লাশ দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসে যোগাযোগ করে প্রক্রিয়া করছেন বলে জানা যায়।
আমিনের বাবা বয়োবৃদ্ধ। এক ভাই ও তিন বোনের দুই বোনই মানসিক ভারসাম্যহীন। একমাত্র বড় বোন বিবাহিত। পাঁচ সদস্যের হতদরিদ্র অভাবের সংসারটির লাগাম যখন পরিবারের ছোট্ট ছেলে আমিনের(২৩) কাঁধে, তখন ধার দেনা করে কোনভাবে তিন বছর পূর্বে পাড়ি দিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে। ওমানের সালালাহ গানের ভিসায় আসলেও অনেক পরিশ্রম করতে হতো সেখানে। তাই ভিসার মেয়াদ শেষ হতেই এক বছর পূর্বে পালিয়ে রাজধানীর নিকটে বারকার ওয়াকদা নামক স্থানে ভিসাহীন হয়ে একটি লন্ড্রির দোকানে চাকরি করে আসছিলো আমিন।
অত্যন্ত হত দরিদ্র পরিবারের একমাত্র সম্ভল ছিলো আমিন। তার অর্জিত উপার্জনেই চলতো পরিবার। তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে গেছে তারা । ‘মা বাবা চায়, লাশটি অন্তত দেশে আসুক।
Discussion about this post