ছিল না কোনো অপরাধ। এরপরও দেখলেন থানা হাজতের চৌদ্দ শিক। পুলিশকে চিনলেন খুব কাছ থেকে। বুঝলেন, পুলিশের নির্মমতা! ‘পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা’! এ যে শুধু প্রবাদ নয়, তা ‘ভাঙা পায়ে’ টের পাচ্ছেন মালয়েশিয়াপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৪০)। পুলিশের ভুলে ব্যান্ডেজ পায়ে এখন যন্ত্রণায় কাঁদতে হচ্ছে তাঁকে। আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ শুধু নামের মিলটাই খুঁজে পেয়েছিল। আর তাতেই একদল অদক্ষ পুলিশ রফিকুল ইসলামকে থানায় তুলে নিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দিল। মর্মস্পর্শী এ কাণ্ড ঘটিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজীবপুর বাজারের একটি দোকান থেকে পুলিশ রফিককে টেনে বের করে পেটাতে পেটাতে থানায় নিয়ে যায়। থানা হাজতে নিরপরাধ ব্যক্তির ওপর এমন অমানুষিক নির্যাতনের খবরে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
ওই দিন সন্ধ্যায় রাজীবপুর থানা থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে একটি মোটরসাইকেল মেকারের দোকানে সাদা পোশাকে থাকা শফিক আহমেদ নামের এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় করাতিপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের নামের সঙ্গে মিল থাকায় নিরপরাধ অন্য রফিকুল ইসলামকে ধরে থানায় নিয়ে পুলিশ। পিটিয়ে নিরপরাধ রফিকুলের
ডান পা ভেঙে দেওয়ার পর যখন পুলিশ জানতে পারে ‘ভুল হয়ে গেছে’, তখন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Discussion about this post