ইসরাইলের নতুন সরকারের সাথে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পরিকল্পনা নেই ইন্দোনেশিয়ায়। সোমবার জাকার্তায় এক সরকারি বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সিঙ্গাপুরে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত সাগি কর্ণির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সাগি কর্ণি বলেন, তেল আবিব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলোর সাথে কাজ করতে চাই।
এশিয়া প্যাসিফিক এবং আফ্রিকা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া এই সময় ইন্দোনেশিয়ার মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আমরা এই শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করছি।
কর্ণির বক্তব্যে দাবি করা হয়, ইসরাইলের দ্বন্দ্ব হামাসের সাথে, ফিলিস্তিনের লোকজনের সাথে নয়। এটি ঘটনাকে বিকৃত করার একটি অপচেষ্টা।
এর আগে বৃহস্পতিবার কর্ণি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টকে বলেছিলেন যে, ইসরাইল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, আমরা কথা বলতে ও সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী এবং সজাগ থাকা পর্যন্ত সম্পর্ক তৈরির দরজা সব সময় উন্মুক্ত। আমি মনে করি না, আমাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন।
এশিয়ায় ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারে ইসরাইলের দূতাবাস আছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক
Discussion about this post