করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশটির বেশিরভাগ শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব তাদের স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। সেখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা ও সন্দেহভাজনদের রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
ব্রাজিলে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৫ জন। প্রাণঘাতী ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ফুটবল ম্যাচ। এ কারণে খালি পড়ে থাকা স্টেডিয়ামগুলোকে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে সিরি আ’র অন্তত ১০টি ক্লাব।
বর্তমান দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন ফ্লামিঙ্গো ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে, তারা রিও ডি জেনিরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের নিয়ন্ত্রণ ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে। ক্লাবের সভাপতি রোডোলফ ল্যান্ডিম সমর্থকদের উদ্দেশে এক বার্তায় লিখেছেন, ‘এই ভয়াবহ মুহূর্তে আমাদের লাল-কালো জাতিকে আশার পুনর্জাগরণ এবং আরও ভালো দিন গড়তে কাজ করার আহ্বান জানাই। আসুন, আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিই, যাদের সবচেয়ে বেশি দরকার তাদের সাহায্য করি।’
ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহর সাও পাওলো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শহরের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমাতে পাচেম্বু পৌর স্টেডিয়ামে অন্তত ২০০ বেডের একটি অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তুলবে। এ কাজে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শহরের আরও দু’টি বড় ক্লাব।
কোরিন্থিয়ান্স পাউলিস্তা জানিয়েছে, তারা তাদের ইতাকুয়েরাও স্টেডিয়াম ও ট্রেনিং হেডকোয়ার্টার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেবে। সান্তোস এফসি জানিয়েছে, তাদের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামেও একটি অস্থায়ী ক্লিনিক গড়ে তোলা হবে।
গত শুক্রবার ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ হেনরিক ম্যানডেটা জানিয়েছিলেন, আগামী এপ্রিল-জুন নাগাদ দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে।
তিনি জানান, বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এপ্রিল মাস শেষ হওয়ার আগেই ব্রাজিলের ২১ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।
Discussion about this post