ইহকালে শান্তি, পরকালে মাগফেরাত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৮ মিনিট থেকে ১১টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত চলা এই আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লি অংশ নেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের তাবলিগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমদ। মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে পুরো টঙ্গী প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
এর আগে রোববার বাদ ফজর ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা।
এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ স্রোতের মতো ছুটে আসেন ইজতেমা ময়দানে। সকালে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখ লাখ মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে বেলা ১১টা ৮ মিনিটে। জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। কান্নায় বুক ভাসান তারা। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এ আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
৩৮ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে মাওলানা জোবায়ের আহমেদ প্রথম ১৮ মিনিট মূলত পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষ ২০ মিনিট দোয়া করেন বাংলা ভাষায়। মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সস্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর কিংবা উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
Discussion about this post