আজকের ব্যস্ত জীবনধারা এবং সেডেন্টারি লাইফস্টাইল আমাদের শরীরের জন্য নানা ঝুঁকি তৈরি করছে। অফিসের কাজ, ঘরে বসে প্রযুক্তি ব্যবহার আর খাদ্যাভ্যাসে জাঙ্কফুডের বৃদ্ধি— এসব মিলিয়ে লিভারের ওপর চাপ বাড়ছে।
বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার বা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার সমস্যা এখন ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। অথচ লিভার আমাদের শরীরের বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি শোষণ এবং টক্সিন নিঃসরণের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এই অঙ্গের যত্ন না নিলে শরীরের স্বাস্থ্য দ্রুত বিঘ্নিত হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়েট ও খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অবলম্বন করলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব। তাদের দাবি, লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ করে সঠিক খাবার তেল নির্বাচন খুব জরুরি।
এ বিষয়ে দেশের জনপ্রিয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন আল্-হায়াত হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কনসালটেন্ট ডায়টেসিয়ান ও পুষ্টিবিদ মোহাম্মদ আরিফ ইকবাল।তিনি বলেন, ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য সবচেয়ে উপকারী তেল হলো অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল। এতে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারে চর্বি জমা কমায় এবং লিভারের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তিনি আরও জানান, সয়াবিন তেল ও ক্যানোলা তেলও পরিমিতভাবে নিরাপদ। এগুলোতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম, ফলে লিভারের কোষে প্রদাহ কমে এবং চর্বি জমার ঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে সরিষা, নারিকেল বা পাম তেল অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ। কারণ এসব তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি, যা লিভারে ফ্যাট জমার ঝুঁকি বাড়ায় এবং ফ্যাটি লিভারের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।
এ ছাড়া ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করা, নিয়মিত হাঁটা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ আরিফ।























